কোন এক রাতবিহারিনীকে
(আহমেদ জী এস এর কবিতা)
হায় রে , ফুলি !
কেন পথে নেমে এলি, এ কোন
সন্ধ্যাবেলা
চোখে বিষাদের হলুদ কাজল মেখে
দুঃখের মলিন গাত্রাবাস খুলে
রেখে
নিশীথে চড়ালি গতরে সুবাস
নির্জলা !
কাকে দেখাবি বিগতা শরীরের এ ঢেউ
কার বাহু বিস্তারে আয়াসে
দিবি ধরা
বুকের গহীন কন্দরে এতো যে
খরা
তারে কি কখনো দুহাতে তুলে
নেবে কেউ ?
কেন সঁপে দিলি প্রকাশ্যে জীবন
যৌবন,
আজন্ম আদরিনী মাটিগন্ধ খসালি
পিষ্ঠ স্তনে ভিন দেশী আঘ্রান
মাখালি
চোখজল ঠেলে রেখে কাটালি
আজীবন ?
ব্যাধিগ্রস্থ পিশাচের
দঙ্গলেরই ভীড়ে
আজো খুঁজিস দুখি মুখখানি পিতার
?
ভায়ের আদল, শতছিন্ন সংসার ?
জানি , এই ক্লেদ-নগর নিছে সব
কেড়ে ।
ভুলেছিস কি , পুকুরের সেই শান্ত
জল
কাঁধের চকিত দর্প , অকারন
হাসি
কৈশোরের নির্ঝরিনী ঝরা
সর্বনাশী
গতরের মূর্ছায় কাঁপা ফুল, কী
দোদুল ?
মনে পড়ে , সুগন্ধা নদীর ঢেউ উত্তাল
বিবসনা নারকেল ছায়ার দুপুর,
পুঁইয়ের বীচি রাঙা পায়ের
নুপূর
কলশব্দে হেসে ওঠা ঐ মাটির
ফাটল ?
এখানে নরকের ক্ষুধা দাউদাউ জ্বলে
কুকুর কুন্ডলী সহবাসে রাতভর,
দেহ ছেনে আনিস মুখের আহার
কি কুক্ষনে, এই বুঝি ছিলো
তোর কপালে ?
হায় রে , ফুলি !
শুধু তোরেই বলি-
নামুক ঘুম, শান্তি তোর গহীন
শয়নে
শান্তি, মনের গভীরে । অচেনা প্রহরে
জেগেছিস নির্ঘুম রাত , এই শহরে
ভালো থাকিস সব ভুলে আপন
ভুবনে ।